আইএফআইসি ব্যাংকের চার কোটি ১৫ লাখ টাকা প্রতারণার মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।
এদিন মামলাটিতে সাকিবকে গ্রেফতারের পরোয়ানা সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তিনি পলাতক থাকায় বাদীপক্ষ তার সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
অপর আসামিরা হলেন— সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন, পরিচালক ইমদাদুল হক, পরিচালক মালাইকা বেগম
এর মধ্যে ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম আদালতে হাজিরা দিলেও সাকিব ও গাজী শাহাগীর হোসাইন হাজির হননি। ফলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, সাকিবের মালিকানাধীন এগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে বিভিন্ন সময় ঋণ গ্রহণ করে।
এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি দুটি চেক ইস্যু করলেও, ব্যাংকে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় চেক দুটি ডিজঅনার হয়।
এই দুই চেকের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়েছে ব্যাংক, যার মোট পরিমাণ ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে সাকিবের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।